Recent Posts

LightBlog

Breaking

Saturday, February 4, 2017

পুনরায় ক্যান্সার আক্রমণ রুখতে ৫ টি অনুশীলন


৪ ফেব্রুয়ারি ছিল বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। এ দিনটিতে ক্যান্সারের আক্রমণ ও নিরাময় বিষয়ে সচেতনতা ও নানা তথ্য প্রচারে জোর দেওয়া হয়।

এ উপলক্ষে জেনে নিন ক্যান্সারে একবার আক্রান্ত হওয়া ও নিরাময়ের পর তা যেন আবার আক্রমণ না করে সেজন্য কিছু টিপস। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। ১. নরডিক ওয়াকিং
ক্যান্সার যেন ফিরে না আসে সেজন্য নরডিক ওয়াকিংয়ের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি মূলত লম্বা স্টিক বা লাঠি হাতে হাঁটা। পাওয়ার ওয়াকিংয়ের বিকল্প হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়। এ হাঁটায় দেহের সব মাংসপেশির মিলিতভাবে কাজ করতে হয়। যে কোনো বয়সেই এ পদ্ধতি কার্যকর। (নিচের ছবি)

২. এলিপটিকাল ট্রেনিং
বহু জিমেই এলিপটিকাল ট্রেইনিং সামগ্রী পাওয়া যায়। এটি মূলত একটি মেশিন, যেখানে অনুশীলন করলে সারা দেহেরই অনুশীলন করা হয়। কেমোথেরাপির দেওয়ার সময়েও এটি ব্যবহার করা যায়। জেএএমএ অনকোলোজি জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণার তথ্যে দেখা যায় ৩০০ মিনিট এলিপটিক্যাল ট্রেনিংয়ের ফলে দেহের ফ্যাট কমে এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে যায়। (নিচের ছবি)
৩. ড্রাগন বোট
বৈঠা দিয়ে নৌকা চালানো বহুকাল আগে থেকেই প্রচলিত। এটি নারীদের স্তন ক্যান্সারে পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। এছাড়া দেহের শক্তি ও এনার্জি বাড়ায়। এটি ওষুধমুক্ত থেরাপি হিসেবে পরিচিত, যা একাধারে খেলা, মজা ও ফ্রেশ বাতাস গ্রহণের উপায়। 
৪. কুই গং
চীনের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতি এটি। পশ্চিমা বহু হাসপাতলেও এ পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দূর করতে এটি ভূমিকা রাখে। এটি দেহের অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া দেহের এনার্জির মাত্রা বাড়ায় এবং মানসিকতা ভালো করে। এছাড়া মানসিক অসাড়তাও দূর করতে এটি কার্যকর। (টপ ছবি)
৫. মেডিয়েট
ফ্রান্সে এ পদ্ধতি প্রচুর ব্যবহার করা হয়। এ পদ্ধতি উন্নয়ন করেছেন ফ্রেঞ্চ অ্যাসোসিয়েশন কেমি স্পোর্ট এট ক্যান্সার-এর গবেষকরা। এ পদ্ধতিতে সমগ্র দেহের মাংসপেশি ও হাড়ের অনুশীলন করা হয়। অনেকটা কোরিওগ্রাফের আদলেই চলে এ অনুশীলন। 

No comments:

Post a Comment