Recent Posts

LightBlog

Breaking

Friday, December 2, 2016

শীর্ষ বিপজ্জনক ১৩টি দেশ

প্রধান ঝুঁকি পরামর্শক ভারসিক ম্যাপলক্রফট সহিংস অপরাধের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি সম্পন্ন দেশগুলোর একটি তালিকা তৈরি করেছে। এতে মূলত বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশগুলোর নাম তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে।
মাদক চোরাচালান, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতি এবং সহিংসতার দিকে পরিচালাকারী অন্যান্য তৎপরতার বিস্তারের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়।
প্রতিটি দেশকে ঝুঁকির একটি স্কোর দেওয়া হয়, ১০ (সর্বনিম্ন ঝুঁকি) থেকে ০ (সর্বোচ্চ ঝুঁকি) পর্যন্ত। এছাড়া ঝুঁকির মাত্রা ভেদে দেশগুলোকে বেশ কয়েকটি ক্যাটেগরিতেও ভাগ করা হয়।
এতে দেখা গেছে, সবচেয়ে বিপজ্জনক জাতিগুলো মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকায় অবস্থিত। এসব মহাদেশের অর্থনীতি কম উন্নত আর রাজনৈতিক পরিস্থিতিও চরম অস্থিতিশীল। এ ধরনের পরিবেশ এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টিতে সহায়ক হয়েছে যেখানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বৈশ্বিক মাদক পাচারের রুট হওয়ায় ল্যাটিন আমেরিকা বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা।
তালিকাটির শীর্ষে থাকা ১৩টি দেশ হলো:
১৩. নাইজেরিয়া: স্কোর- ২.৩৭। আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ বড় অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছে। কিন্তু ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম এবং নাইজার ডেল্টা অ্যাভেঞ্জার্সদের মতো চরমপন্থী সংগঠনগুলোর কারণে দেশটিতের সহিংসতার হুমকি চরমে রয়েছে।
১২. কলম্বিয়া: স্কোর- ২.৩১। যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচারের রুটগুলোর একটি প্রবেশপথের একটি এটি। সমগ্র বিশ্বে উৎপাদিত কোকেনের একটি বিশাল অংশেরই উৎপাদন করে কলম্বিয়া।
১১. লিবিয়া: স্কোর- ২.৩০। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফি সরকারের পতনের পর লিবিয়াতে একটি ক্ষমতাশুন্যতা সৃষ্টি হয়। আর দেশটি আইএসআইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর তৎপরতার কেন্দ্রে পরিণত হয়।
১০. পাকিস্তান: স্কোর- ১.৯৮। পাকিস্তানে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় অস্থিরতা ব্যাপকবিস্তৃত। আর দেশটি প্রায়ই সন্ত্রাসী হামলায় জর্জরিত হয়। সম্প্রতি সর্বশেষ গত সোমবার দেশটির কাশ্মীর অঞ্চলের একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলা করেছে দেশটির একটি জঙ্গি গোষ্ঠী।
৯. সোমালিয়া: স্কোর- ১.৭৫। সোমালিয়া বিশ্বের সবচেয়ে অস্থিতিশীল দেশগুলোর একটি। আর বেশ কিছু মানদণ্ডে এটি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। ভারত মহাসাগর ভিত্তিক জলদস্যুতা মহামারির কেন্দ্র সোমালিয়া। এছাড়া সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল শাবাব এর জন্মভুমি দেশটি।
৮. এল সালভাদর: স্কোর- ১.৫৫। মধ্য আমেরিকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এলসালভাদর দলগত সহিংসতা এবং মাতক পাচারে জর্জরিত। মাত্র ২৫ বছরের কম সময় আগে দেশটি দীর্ঘ ১২ বছরের গৃহযুদ্ধ থেকে বেরিয়ে এসেছে।
৭. ভেনেজুয়েলা: স্কোর-১.৪৬। কলম্বিয়ার মতো ভেনেজুয়েলাও যুক্তরাষ্ট্রে মাদকপাচারের রুটগুলোর প্রবেশ পথগুলোর একটি। ২০১৪ সালে তেলের দামে পতনের পর থেকে দেশটির অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ে। এতে খাদ্য ঘাটতিসহ জীবন ধারনের মৌলিক সুযোগ-সুবিধাগুলোরও ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে দেশটিতে সহিংসতা উত্তোরত্তর বেড়ে চলতে থাকে।
৬. হন্ডুরাস: স্কোর- ১.৪৪। ২০১৫ সালে হন্ডুরাসে প্রতি ১ লাখ লোকের ৬০ জনকে হত্যা করা হয়। দেশটি অসংখ্য সহিংস রাস্তার সন্ত্রাসী দলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষমতাশালি দুটি গ্যাং হলো মারা সালভাট্রুচা এবং ব্যারিও ১৮।
৪. সিরিয়া: স্কোর- ১.১৯। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এবং বিদ্রোহী বাহিনীগুলোর ভয়ঙ্কর এবং বিধ্বংসী যুদ্ধে সাঙ্ঘাতিক মানবিক সংকটে রয়েছে সিরিয়া। দেশটির প্রধান প্রধান শহরগুলোতে বিমান হামলা নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আর এতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হচ্ছে। ২০১১ সালে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে সিরিয়ায় প্রায় ৫ লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। আর জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএস এর উত্থান দেশটির পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করেছে।
৪. ইরাক। স্কোর- ১.১৯। ২০০৩ সালে মার্কিন হামলার পর থেকে শুরু করে ইরাক এখনো সংঘর্ষপীড়িত। দেশটিতে এখন পশ্চিমা সমর্থিত একটি সরকার ক্ষমতায় থাকলেও ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএস দেশটির বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে রেখেছে। আর পুরো দেশজুড়েই সহিংসতা বিরাজ করছে।
৩. মেক্সিকো: স্কোর- ১.১৭। দক্ষিণ আমেরিকা এবং উত্তর আমেরিকার মধ্যে মাদকপাচারের চক্রকেন্দ্র হওয়ায় মেক্সিকোতেও সহিংসতার ঘটনা ঘটে অহরহ। নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বাজেট সংকুচিত করে আনায় সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাও অবশ্যম্ভাবী। এতে বিনিয়োগকারীরাও চাঁদাবাজি, চুরি এবং অপহৃত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
২. গুয়াতেমালা: স্কোর- ০.৭২। এলসালভাদর এবং হন্ডুরাসের মতো মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালাও মাদকপাচার সংশ্লিষ্ট সহিংসতায় জর্জরিত। ২০১৫ সালে গুয়াতেমালায় সপ্তাহে গড়ে ৯১টি হত্যাকাণ্ড ঘটত।
১. আফগানিস্তান। স্কোর-০.৭১। দেশটিতে হরেহামেশাই সহিংস অপরাধ ঘটে। আর দেশটি এখনো ইসলামি মৌলবাদি গোষ্ঠী তালেবানদের দৌরাত্মে বিধ্বস্ত। সহিংসতার পাশাপাশি হেরোইন ব্যবসাও বেড়ে চলেছে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

No comments:

Post a Comment